শীতের সিজনে একবার এইভাবে বানিয়ে দেখুন গাজরের হালুয়া, সারাজীবনের মতো স্বাদ লেগে থাকবে মুখে









নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতের সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য সবজি হচ্ছে গাজর। কমবেশি অনেকেই কিন্তু এই সময়ে গাজরের তৈরি নানান ধরনের রেসিপি খেয়ে থাকেন যার মধ্যে অন্যতম হলো হালুয়া। গাজরের হালুয়া বানানোর একটি বিশেষ পদ্ধতি আমরা আজকে শেয়ার করে নেব। একবার এই পদ্ধতিতে হালুয়া বানালে কিন্তু বাচ্চা থেকে বড় সকলেই ফ্যান হয়ে যাবে আপনার রান্নার। চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক।
বাজারে কমলা এবং লাল দুই ধরনের গাজর পাওয়া যায়। হালুয়ার জন্য অবশ্যই কিন্তু লাল গাজর ব্যবহার করবেন । তাহলে হালুয়ার স্বাদ অবশ্যই খুবই ভালো হবে। এবার একটু মোটা গ্রেটার দিয়ে গাজর গুলোকে গ্রেট করে নিতে হবে। গ্যাসে একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে কিছুটা পরিমাণ ঘি দিয়ে দিন। সবসময় চেষ্টা করবেন হালুয়া বানানোর জন্য একটু পুরু করাই নেওয়ার।




তাহলে কিন্তু আপনাদের কাজের সুবিধা হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে দেওয়ার পর এক মুঠো কাজুবাদাম হালকা ভেজে তুলে নিন। এবার আগে থেকে গ্রেট করে রাখা গাজর ঘি এর মধ্যে দিয়ে দেবেন। মিডিয়াম ফ্লেমে বেশ কিছুক্ষণ এবার আপনাদের গাজর নাড়াচাড়া করার কাজ করতে হবে। একটু বেশি সময় ধরে গাজর নাড়াচাড়া করে ভাজার চেষ্টা করবেন।




যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি নরম হয়ে রঙের পরিবর্তন হচ্ছে আপনাদের ভাজার কাজটা করতে হবে।। এবার লিকুইড দুধের পরিবর্তে গাজরের মধ্যে আপনাদের ঘন করা দুধ যোগ করে দিতে হবে। মোটামুটি এক কিলোর থেকে একটু বেশী দুধকে আগে থেকেই জাল দিয়ে ঘন করে রাখবেন। দুধ দেওয়ার পর যখন গাজর মোটামুটি আরও নরম হয়ে যাবে তখন সমস্ত ড্রাই ফ্রুটস এর মধ্যে যোগ করে দেবেন।
মোটামুটি ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে অল্প একটু বাদাম আর পেস্তা রাখতে পারেন। দুধ কিছুটা শুকিয়ে আসলে আপনারা এখানে চিনি যোগ করে দেবেন। চিনি ভালোভাবে মিশে গেলে এর মধ্যে ছোট এলাচের পাউডার দিয়ে দেবেন। যেটুকু জলীয় ভাব গাজরের মধ্যে থাকবে সেটা যতক্ষণ না শুকিয়ে যাবে নাড়াচাড়া করতে থাকবেন। এই সময়ে গ্যাস মিডিয়াম টু লো ফ্লেমে রাখতে হবে। ব্যস এই পর্যায়ে কাজুবাদাম সহ অন্যান্য ড্রাই ফ্রুট যোগ করে একটু নাড়াচাড়া করে গরম গরম গাজরের হালুয়া পরিবেশন করে ফেলুন।











