নামমাত্র পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা, কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই মাস গেলে হবে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ উপার্জনের জন্য যে সমস্ত মাধ্যমগুলো বিশেষ রকমের জনপ্রিয় তার মধ্যেই রয়েছে ব্যবসা। একটা সময় পর্যন্ত কিন্তু সাধারণ বাঙালি জনগণ ব্যবসার কাজে অংশগ্রহণ করতে ভীষণ ভয় পেত। তবে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে চাকরির বাজার খারাপ হওয়ার কারণে এখন মানুষ এই ব্যবসাকেই প্রধান উপার্জনের রাস্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

এখন মার্কেটে নানান ধরনের ব্যবসা চলছে যা অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে গড়ে তুলছে লাখপতি অথবা কোটিপতি। তবে যারা নতুন ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা চট করে বুঝতে পারেন না ঠিক কোন ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে সেটা লাভজনক হতে পারে।

তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে চলে এসেছি আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন যেখানে দুর্দান্ত লাভজনক একটা ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। যদি ভালো লাগে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিন্তু প্রতিবেদনটি শেয়ার করে নিতে ভুলবেন না।

পেপসি তৈরির ব্যবসা শুরু করার উপায়?

আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব পেপসি তৈরির ব্যবসার কথা। এই ব্যবসা শুরু করা কিন্তু খুবই সহজ।প্রতিবেদনের মূল পর্বে যাওয়ার আগে শুরুতেই জানিয়ে রাখি এই ব্যবসায় প্রোডাক্ট তৈরি করতে গেলে কিন্তু আপনাদের মাত্র সামান্য কিছু পয়সা পর্যন্ত খরচ হবে। অন্যদিকে এটাকে বাজারে আপনারা বিক্রি করতে পারবেন প্রায় ২ টাকা বা ৫ টাকা পর্যন্ত দামে।

মোটামুটি ছোটবেলা থেকে কমবেশি আপনারা সকলেই হয়তো এই পেপসি খেয়েছেন। তবে এটা তৈরি করাটাও কিন্তু খুব সহজ এবং এটা দিয়েও যে ব্যবসা শুরু হতে পারে তা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা নেই। এই পেপসির ব্যবসা আপনারা দু ভাবে করতে পারেন তাহলে ম্যানুয়াল মেশিনের সাহায্যে এবং অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে।

যদি ম্যানুয়াল মেশিনের সাহায্যে আপনারা ব্যবসা শুরু করেন তাহলে একটু কম প্রোডাক্ট উৎপন্ন হবে।। অটোমেটিক মেশিন এর ক্ষেত্রে কিন্তু খুব একটা খাটনি করতে হবে না আর প্রোডাক্টের উৎপাদনও প্রচুর বেশি হবে।।

পেপসি তৈরি করার জন্য সাধারণভাবে কাঁচামাল হিসেবে প্রয়োজন হবে মিনারেল ওয়াটার বা বিশুদ্ধ জল, প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্লেভার, বেনজয়িক এসিড এবং সাইট্রিক এসিড।বেনজয়িক এসিড এবং সাইট্রিক এসিড পেপসি বেশিদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে।

ম্যানুয়াল মেশিনের সাহায্যে এই সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে খুব সহজেই আপনারা পেপসি প্রস্তুত করে নিতে পারেন। মিক্সিং মেশিনের সাহায্যে পেপসি প্রস্তুত করার পরে এটাকে প্রথমে ছাকনি দিয়ে ছেকে একটা স্টিলের পাত্রে নিয়ে নেবেন। তারপর এই পেপসি গুলোকে খুব সহজেই এই মিক্সিং মেশিনের মুখ থেকে নলের সাহায্যে পাউচে ভরে নেবেন।

পাউচ কাটিং এর জন্যেও আপনারা কিন্তু আলাদা মেশিন পেয়ে যাবেন। সাবধানে নলের মুখ খোলা রেখে আপনারা এই কাটিং এর কাজটা করে ফেলতে পারবেন। অটোমেটিক মেশিন এর ক্ষেত্রে কিন্তু এই ঝামেলা আপনাদের অনেকটাই কমে যাবে। পেপসি তৈরির কাজে আপনারা পছন্দের বিভিন্ন ফ্লেভার ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চারা কিন্তু সাধারণত অরেঞ্জ ফ্লেভার বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই বিভিন্ন স্টলেও অরেঞ্জ ফ্লেভারের পেপসি সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

যারা সম্প্রতি এই বেশির ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী রয়েছেন তারা সহজেই অনলাইন যেকোনো application যেমন ইন্ডিয়ামার্ট অথবা আমাজন থেকে পেপসি তৈরির মেশিন কিনে নিতে পারেন। কোনরকম স্কুল বা কলেজের কাছাকাছি স্টলে সহজেই এই পেপসির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

যেহেতু এটা বাচ্চাদের কাছে একটা অত্যন্ত লোভনীয় খাবার তাই দাঁড়াতে কিন্তু সময় লাগবে না। একবার এই ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে মানুষ প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন।। কেমন লাগলো আজকের এই পরিকল্পনা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Back to top button