বাড়িতে এই পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলুন কচু শাকের রেসিপি, সবাই করবে দারুন পছন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা পাঠক বন্ধুদের সাথে কচু শাকের একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করে নিতে চলেছি। রুটি অথবা পরোটা কিংবা গরম গরম ভাতের সাথেও মাখিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগবে এই রেসিপি। চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন। যারা কম সময়ের মধ্যে একটু ইউনিক রেসিপি ট্রাই করতে চাইছেন চোখ বুজে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি ফলো করতে পারেন।

আমাদের আজকের এই রান্নার প্রধান উপকরণ হচ্ছে কচু শাক। অনেকে এটাকে কচুর ডাটাও বলে থাকেন। কচু শাকগুলোকে ভালো করে ধুয়ে ছোট করে কেটে নিন। মূল রান্নায় যাওয়ার জন্য গ্যাসে একটা করাই বসিয়ে তার মধ্যে কিছুটা সরষের তেল দিয়ে দিন। এবার কচু শাক গুলো কেও এর মধ্যে দিয়ে দেবেন। সামান্য পরিমাণে লবণ আর হলুদ দিয়ে কচু শাক গুলোকে কিছুক্ষণ মজিয়ে নিন।

এভাবে মজিয়ে নিলে কিন্তু গলা কুটকুট করবে না। এই রান্নাতে ব্যবহার করতে হবে সোনামুগ ডাল এবং চিনেবাদাম। চিনেবাদাম টাকে একটু হামান দিস্তায় কুটিয়ে নেবেন। এরপর কচু শাকটাকে নামিয়ে অন্য পাত্রে রেখে দিন। ওই কড়াই এর মধ্যেই আরো কিছুটা পরিমাণ সরষের তেল যোগ করবেন।এর মধ্যে শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে আর তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দিন।

কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে হাফবাটি মুগ ডাল যোগ করে দিন। তেলের মধ্যে এটাকে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন যাতে সুন্দর একটা গন্ধ বেরিয়ে আসে।১-২ মিনিট পরে কুটে রাখা বাদাম এর মধ্যে যোগ করুন।

মুগ ডাল আর বাদাম তেলের মধ্যে এবার একসাথে একটু ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে হাফ বাটি নারকেল কোরা যোগ করুন। এই পর্যায়ে দুই চা চামচ জিরের গুঁড়ো এবং হাফ চা চামচ শুকনো লঙ্কার যোগ করুন। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে কচু শাক গুলোকে জলসহ এর মধ্যে দিয়ে দিন।।

ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সমস্ত উপকরণগুলোকে একটু সেদ্ধ করে সামান্য চিনি যোগ করতে হবে। চিনি দিলে একটা খুব সুন্দর স্বাদের ব্যালেন্স চলে আসবে। নাড়াচাড়া করতে করতে যখন কচু শাক একদম শুকিয়ে আসবে তখন এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দেবেন। তারপর আরো কিছুক্ষণ ভালোভাবে মিশিয়ে আপনারা এটাকে খুব সহজেই সাজিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন। খেতে কেমন লাগলো তা অবশ্যই একটা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Back to top button