একদম অল্প পুঁজিতে করুন প্রচুর ইনকাম! জেনে নিন এই ৫টি অসাধারণ ব্যবসার আইডিয়া









নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবসা হল মানুষের কাছে এমন একটা প্লাটফর্ম যেটার সাহায্যে খুব সহজেই নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে। নতুন বছরের প্রথম মাস ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। এই সময়ে অনেকেই হয়তো নতুন ভাবে নিজেদের কাজ শুরু করার কথা ভেবেছেন অথচ নানান বাধা-বিপত্তির কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি।।
তাই আজ আমরা বলবো যে আর দেরি করবেন না!যদি ব্যবসা শুরু করতে সত্যিই আগ্রহী রয়েছেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটা নজরে রেখে নিজেদের কাজ শুরু করে ফেলুন। কারণ আজ আমরা এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই আপনাদের দারুন লাভবান করে তুলবে।। এক কথায় ২০২৩ সালের সেরা ব্যবসা বলা যেতে পারে এগুলোকে। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটা শুরু করা যাক।




১) কুরিয়ার বা লজিস্টিকের ব্যবসা:
আমাজন,flipkart থেকে শুরু করে বিভিন্ন বড় বড় এপ্লিকেশন বা কোম্পানিগুলি একটি মাধ্যমের সাথে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে। এই মাধ্যমটি হল কুরিয়ার সার্ভিস বা লজিস্টিক সার্ভিস। বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান বা সরবরাহ খুব সহজেই এই মাধ্যমগুলোর সাহায্যে হয়ে থাকে। এই কোম্পানিগুলো কিন্তু নিজেরা সরাসরি ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকে না।




আপনারাও কিন্তু এরকম একটা কুরিয়ার সার্ভিস বা লজিস্টিক সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন যা সাধারন মানুষের কাছে সহজলভ্য। এই কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। এই ব্যবসা শুরু করলে কিন্তু আপনারা মাসে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত একেবারে নিশ্চিন্তে উপার্জন করতে পারবেন।




২) ডিলারশিপ খোজার ব্যবসা:
দ্বিতীয় যে ব্যবসাটির কথা বলব সেটা কিন্তু ঠিক সরাসরি ব্যবসা নয়।এটা কোন একটা কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত বলা যেতে পারে। এই দ্বিতীয় ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাদের যে কাজটি করতে হবে তা হলো বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোকে ডিলার খুঁজে দেওয়া।
নানান ধরনের পাইকারি পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন বড় বড় প্রোডাক্টও আপনারা খুব সহজে এভাবে ডিলারশিপ দিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটকে সাহায্য করতে পারেন।। এতে যাতে তেমন তাদের পণ্য বিক্রি হবে ঠিক তেমনভাবেই কিন্তু আপনারও অতিরিক্ত লাভ হবে। অর্থাৎ সোজা কথায় বলা যেতে পারে আপনার কাজ হবে অফলাইনে হোলসেলার খুজে দেওয়া বা কোন মানুষকে ডিলারশিপ নিতে সাহায্য করা।




৩) কনসালট্যান্টের ব্যবসা:
বিভিন্ন বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সেক্টরে কিন্তু এই কনসালটেন্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে এটা একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবসার মাধ্যম বা উপার্জনের ক্ষেত্র। তবে আপনাকে কিন্তু ক্রমাগত এই ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে হবে আর পাশাপাশি সমস্ত দিক সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কিন্তু এই ব্যবসা অত্যন্ত কার্যকরী। যদি আপনারা সঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেন সে ক্ষেত্রে মাসিক ভিত্তিতে আপনার লক্ষাধিক টাকার বেশি উপার্জন হতে পারে এই কাজের ক্ষেত্রে।




৪) ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ব্যবসা:
বর্তমান সময়তে এটাও কিন্তু একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্ষেত্র যেখানে খুব সহজেই আপনারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন প্রোডাক্ট বিশেষ করে নানান ধরনের ড্রেস বা কসমেটিক্স যদি আপনারা মার্কেটের লঞ্চ করতে পারেন এবং সেগুলোকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন তাহলেও কিন্তু দেশের ভিতরে একটা বড়সড়ো অংকের উপার্জন আপনারা পেয়ে যাবেন।




এই ক্ষেত্রে আপনারা বেশি করে লেডিস গার্মেন্ট বা আইটেমের উপর জোর দিতে পারেন। কারণ আমাদের দেশের সবথেকে বেশি শপিং করে থাকেন মহিলারা এবং তাদের পোশাকের ভ্যারাইটি কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বেশি। আমাদের দেশে ১২০ কোটি লোক আছে তার মধ্যে যদি আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কখনোই কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।




৫) মেডিক্যাল equipment এর ব্যবসা:
যেহেতু স্বাস্থ্য বা শিক্ষা দুটোই কখনো শেষ হওয়ার নয় তাই আপনারা সহজেই মেডিকেল ইকুইপমেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দেশের অভ্যন্তরে অথবা দেশের বাইরে এই ক্ষেত্রে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করতে হবে এবং সেগুলো থেকে উপার্জনের রাস্তা তৈরি করতে হবে।
এইজন্য আপনারা বিভিন্ন হাসপাতাল বা মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট গুলোকে টার্গেট রাখতে পারেন অথবা সোজাসুজি বিভিন্ন ছোটখাটো ক্লিনিক গুলো কেউ কিন্তু টার্গেটের মধ্যে রাখতে পারেন। এই প্রত্যেক জায়গা থেকেই খুব সহজে আপনারা নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। যদি সঠিকভাবে চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোটিপতি হওয়া থেকেও কেউ আটকাতে পারবেনা। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য তাই রইল অসংখ্য শুভকামনা।











